আর্থিক-শিক্ষা খাতকে পরিবর্তন করে যুগোপযোগী করা প্রয়োজন 

;

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট যুগোপযোগী করার চেষ্টা করা হয়েছে। আর্থিক খাত ও শিক্ষা খাতকে পরিবর্তন করে আরও যুগোপযোগী করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন রশিদ।;

সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ কর্তৃক প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩ এর পর্যালোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

হুমায়ুন রশিদ বলেন, বাজেটে রাজস্ব আয়, জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং অর্থনীতির কিছু সূচকের যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে তা বাস্তবসম্মত হওয়া দরকার। করোনার প্রভাব কেটে যাওয়া, দ্রুত বিশ্বমন্দা কেটে যাওয়া, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের অবসান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে বাংলাদেশি পোশাকের চাহিদা বাড়া, প্রবাসী শ্রমিকদের ফিরিয়ে নেওয়া এবং সিন্ডিকেটের বাইরে বিদেশে শ্রমিক পাঠানো শুরু হলে বাজেটের লক্ষ্য পূরণ হবে।

রাজস্ব আহরণে সংস্কার ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাড়তি ব্যয়ের যে চ্যালেঞ্জ সেটা রয়েই গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, তবে চ্যালেঞ্জগুলো ওভারকাম করা গেলে অর্থনীতির হাল বা উন্নয়নের গতিধারায় সাধিত ক্ষতি কমানো সম্ভব হবে। করোনা সংকটে বেশি মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার মতো খাতগুলো অগ্রাধিকার পেয়েও যেন পায়নি। করোনার প্রভাবে বাজেট প্রক্রিয়ায় স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতের গুরুত্ব আলোচিত হলেও সেখানে বরাদ্দ নমিনাল টার্মে আপেক্ষিকভাবে কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও জলবায়ু পরিবর্তন জনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, শিক্ষা, দক্ষ জনসম্পদ তৈরি, ফর্মাল ও ইনফর্মাল সেক্টরে কর্মসৃজনমূলক শিল্প উদ্যোগ, আইটি খাতে বরাদ্দ আরও বাড়ানো প্রয়োজন ছিল।

কৃষিবিদ, কৃষি বিজ্ঞানী, কৃষক ও কৃষি উপকরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রাইভেট সেক্টরও এখানে সরাসরি জড়িত। নতুন নতুন উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণে বাংলাদেশে প্রাইভেট সেক্টরের অবদান কম নয়। সেজন্য পাবলিক সেক্টরের পাশাপাশি প্রাইভেট সেক্টরেও বাজেট বরাদ্দ থাকা উচিত। রাসায়নিক সারের তুলনায় জৈবসারে মাটির গুণাগুণ ভাল করে বিধায় রাসায়নিক সারের মতো করে বাজেটে জৈবসার উৎপাদনে ভর্তুকির ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে।

প্রস্তাবিত বাজেটের পরিপূরক শুল্ক বিদ্যমান দশ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার কারণে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের উচ্চ বিল পরিশোধ করতে হবে জানিয়ে হুমায়ুন রশিদ বলেন, দেশ, সমাজ ও অর্থনীতি যখন ডিজিটাল ও ভার্চুয়াল সংযোগ সংস্কৃতির দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হচ্ছে তখন মোবাইল ফোন তথা ইন্টারনেটের ব্যবহারের ওপর অতিরিক্ত করারোপ পর্যালোচনা প্রসূত হয়নি। সমসাময়িক করোনা পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে এ সময়ে বরং আরও কমানো দরকার ছিল। সঞ্চয়ের ওপর যেকোনো অতিরিক্ত করারোপ মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ে চাপ বাড়াবে। বাজেটে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ও সুশাসনের কথা থাকলেও যেভাবে পাচার করা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রস্তাব করা হয়েছে তা সমর্থনযোগ্য নয়। মাত্র ৭ শতাংশ হারে কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকলে নিয়মিত করদাতাদের আরও নিরুৎসাহিত করা হবে। কালো টাকা সাদা করার সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া প্রয়োজন। তারপর কালো টাকা উদ্ধারে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার আবশ্যকতা থাকবে। কেননা যখন ফাঁকি দিয়ে পার পাওয়ার সুযোগ থাকে, তখন সাদা করার তাগিদ থাকে না। আর পাচার করা টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করা হবে না এ ধরণের এমনেস্টি দিলে অর্থনীতিতে নীতি নৈতিকতার ভারসাম্য মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, কর্মসংস্থানের জন্য বাজেটে অনেক কথা বলা হয়েছে। তবে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং এই মুহূর্তে অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন কাজের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, সেটা কিভাবে গ্রহণ করা যাবে, প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেই সুযোগের ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ ও দিকনির্দেশনা থাকলে ভালো হতো। গ্রামীণ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে আরও বেশি হওয়া এবং চলমান ১০০ দিনের কর্মসূচির আওতাও বাড়ানো উচিত বলে জানান আইবিএফবি প্রেসিডেন্ট।;

অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের পরিচালক সৈয়দ মুস্তাফিজুর রহমান, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফাইন্যান্স) লুৎফুন্নেসা সাউদিয়া খান, ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আবদুল মজিদ ও ড. মো. আলী আফজাল উপস্থিত ছিলেন।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার) লেনদেন পরিমাণ আগের সপ্তাহ তুলনায় বেড়েছে। সপ্তাহটিতে ক্রেতার সংকট কারনে শেয়ার ক্রয়ের চাপ নেই। অপরদিকে শেয়ার বিক্রেতার পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। ফলে শেয়ার বিক্রয়ে ছিল হিড়িক। বিক্রয়ের চাপে লেনদেন পরিমাণ বাড়লেও সপ্তাহটিতে সব ধরনের সূচক পতন হয়। কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর। গেল সপ্তাহটিতে সেকেন্ড ক্যাটাগরির (‘বি’ ক্যাটাগরি) কোম্পানির শেয়ার দর টপটেন গেইনারে কদর ছিল বেশি। সপ্তাহটিতে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৫০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার টপটেন গেইনারে অবস্থান করেছে। অপরদিকে, ‘এ’ ক্যাটাগরির ৪০ শতাংশ এবং ‘এন’ ক্যাটাগরির ১০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর অবস্থান করেছে।

গেল সপ্তাহে ডিএসইতে ‘বি’ ক্যাটাগরির শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ার দর টপটেন গেইনারের শীর্ষে ওঠে এসেছে। সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৫১ দশমিক ৯৪ শতাংশ। কোম্পানিতে ১৫৭ কোটি ৬৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর দাঁড়ায় ৪৩ টাকায়। ঈদের আগে শেষ কার্যদিবস বা ২৮ এপ্রিল শেয়ার প্রতি দর ছিল ২৮ দশমিক ৩০ টাকা। এই সময়ের ব্যবধানে কোম্পানির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। কারণবিহীন শাইনপুর সিরামিকসের শেয়ার দর এভাবে বাড়াকে বাঁকা চোখে দেখছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলছেন, গেল সপ্তাহে লেনদেন পরিমান বেড়েছে। এসময় শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রয় বেশি হয়। এই কারনে লেনদেন বাড়লেও সব ধরনের সূচক পতন হয়। দুই-তৃতীয়াংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমে। এই অবস্থায় এমন কি হলো, হঠাৎ করেই সেকেন্ট ক্যাটাগরির শাইনপুকুরের শেয়ার দর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তাও সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে ৫২ শতাংশ। বিযয়টি নিয়ে রেগুলেটরদের বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। শেয়ারটির দর কেন বাড়ছে বা বাড়ানোর পেছনে কেউ জড়িত থাকলে তাদের চিহিৃত করার অনুরোধ করেন সংশ্লিষ্টরা।

ডিএসইর গেইনারে উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এসিআই ফরমুলেশন (‘এ’ ক্যাটাগরি) ৩২ দশমিক ৪৯ শতাংশ, বঙ্গজ (‘বি’ ক্যাটাগরি) ২০ দশমিক ৮২ শতাংশ, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ, সিভিও পেট্রোলিয়াম (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১৮ দশমিক ৫১ শতাংশ, সালভো কেমিক্যাল (‘বি’ ক্যাটাগরি) ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ন্যাশনাল ফিড (‘বি’ ক্যাটাগরি) ১৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ, ইস্টার্ন হাউজিং (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১৫ দশমিক ৭০ শতাংশ, জেএমআই হাসপাতাল (‘এন’ ক্যাটাগরি) ১৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং সোনারগাঁও টেক্সটাইল (‘বি’ ক্যাটাগরি) ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ করে শেয়ার দর বেড়েছে।

উল্লেখ্য, ‘পুঁজিবাজারের ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ার ‘বি’ ও ‘জেড’ ক্যাটাগরির থেকে তুলনামূলক ভালো কোম্পানি। নিয়ম অনুসারে, যেসব কোম্পানি বছর শেষে তাদের শেয়ারহোল্ডারদের সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে তার ঊর্ধ্বে লভ্যাংশ (নগদ বা বোনাস) দেয় তারাই ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার। যেসব কোম্পানি বছর শেষে তাদের শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নিচে থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ লভ্যাংশ (নগদ বা বোনাস) দেয় তারা ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার। যেসব কোম্পানি বছর শেষে তাদের শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নিচে থেকে শুরু জিরো লভ্যাংশ (নগদ বা বোনাস) দেয় তারাই ‘জেড’ ক্যাটাগরি কোম্পানির শেয়ার। এছাড়া এন ক্যাটাগরি নতুন কোম্পানির শেয়ার। যেগুলোর পুঁজিবাজারের লেনদেন শুরু হয়েছে কিন্তু বছর পার হয়নি, সেইগুলো ‘এন’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে।

অপরদিকে, সপ্তাহটিতে ভাল ক্যাটাগরির (‘এ’ ক্যাটাগরি) কোম্পানির শেয়ার টপটেন লুজারে কদর ছিল বেশি। লুজারে ৭০ শতাংশ ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ারের অবস্থান করেছে। বাকী ২০ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরি এবং ১০ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ারের অবস্থান করেছে। গেল সপ্তাহে ‘বি’ ক্যাটাগরির জেমিনি সি ফুড শেয়ার দর টপটেন লুজারের শীর্ষে ওঠে এসেছে। সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ। জিমিনি সি ফুড একাই ২৭ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

সপ্তাহটিতে কোম্পানির শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৭২ দশমিক ৫০ শতাংশ। টপটেন লুজারে উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সিটি ব্যাংক (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, ওয়ান ব্যাংক (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১৫ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১২ দশমিক ৩১ শতাংশ, পূবালী ব্যাংক (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ, তাজউদ্দিন টেক্সটাইল (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১১ দশমিক ২২ শতাংশ, পেপার প্রসেসিং (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১০ দশমিক ৮২ শতাংশ, সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ (‘জেড’ ক্যাটাগরি) ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ, মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং (‘বি’ ক্যাটাগরি) ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং প্রগতি ইন্স্যুরেন্স (‘এ’ ক্যাটাগরি) ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ করে শেয়ার দর কমেছে।

এছাড়া সপ্তাহটিতে ভালো ক্যাটাগরির (‘এ’ ক্যাটাগরি) কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে কদর ছিল বেশি। লেনদেনে ৭০ শতাংশ ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ারের অবস্থান করেছে। এছাড়া ২০ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরি এবং ১০ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ারের অবস্থান করেছে। গেল সপ্তাহে লেনদেন শীর্ষে থাকা ১০ কোম্পানি ১ হাজার ৫০৫ কোটি ৪৪ লাখ ৭ হাজার টাকা বা ২৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ শেয়ার কেনাবেচা করে। সেখানে ৩৯৩টি কোম্পানি লেনদেন হয় ৫ হাজার ৩৯৭ কোটি ৯৩ লাখ ১০ হাজার ৩০ টাকার শেয়ার।

সপ্তাহটিতে জেএমআই হাসপাতাল (‘এন’ ক্যাটাগরি) একাই ২৩০ কোটি ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকার বা ৪ দশমিক ২৬ শতাংশ শেয়ার কেনাবেচা হয়। অর্থের পরিমাণে লেনদেন সেরা অবস্থানে জেএমআই হাসপাতালের শেয়ার। সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের শীর্ষ স্থান দখল করে। লেনদেন শীর্ষে উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১৮৩ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা, এসিআই ফরমুলেশন (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১৬০ কোটি ৭ লাখ ৬১ হাজার টাকা, শাইনপুকুর সিরামিকস (‘বি’ ক্যাটাগরি) ১৫৭ কোটি ৬৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, আইপিডিসি ফাইন্যান্স (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১৪৯ কোটি ৯২ লাখ ১৫ হাজার টাকা, ইউনিক হোটেল (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১৩৩ কোটি ২৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা, ওরিয়ন ফার্মা (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১৩১ কোটি ৫২ লাখ ২৫ হাজার টাকা, রংপুর ডেইরি (‘বি’ ক্যাটাগরি) ১২৯ কোটি ৮১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ফরচুন সুজ (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১১৮ কোটি ৬১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা এবং ইস্টার্ন হাউজিং (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১১১ কোটি ১৭ লাখ ৪৪ হাজার টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

গত সপ্তাহের শেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৫ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্টে। যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ১৫ দশমিক ৪০ পয়েন্ট। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও কমেছে দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারে কোনো কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১৫ পয়েন্ট ছাড়ালেই তা বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। এ হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। সেই হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পিই দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্টে। মানে পিই রেশিও হিসাবে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে।

মন্তব্য করুন






আর্কাইভ