বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উন্নয়নে সাংবাদিকদের প্রতি স্পিকারের আহ্বান

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উন্নয়নে গঠনমূলক ভূমিকা পালনের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত 'বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভূমিকা: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা' শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিরীন শারমিন চৌধুরী এ আহ্বান করেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। সেমিনারের দ্বিতীয় পর্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান। অনুষ্ঠানে ভারত ও বাংলাদেশের সাংবাদিকরা অংশ নেয়।
বাংলাদেশ-ভারত বিগত বছরগুলোতে সমুদ্র ও স্থল সীমানা নির্ধারণসহ অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে, তবে আরও উন্নতির ক্ষেত্র রয়েছে জানিয়ে শিরীন শারমিন বলেন, দুই দেশ সামাজিক, অর্থনৈতিক, সামুদ্রিক ও পরিবেশগত সহযোগিতার বিষয়ে বেশকিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীর করার মতো কর্মকাণ্ডের প্রচারে সাহায্য করতে মিডিয়া তাদের ভূমিকা পালন করতে পারে।
অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়ান জার্নালিস্টস ইউনিয়নের সভাপতি গীতার্থ পাঠক বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের অভিন্ন ইতিহাস ও সংস্কৃতি রয়েছে।; দুই দেশ অনেক সমস্যার সমাধান করলেও পানি বণ্টনের মতো কিছু বিষয়ে এখনো তেমন অগ্রগতি হচ্ছে না। গীতার্থ পাঠক বলেন, ভাটির নদী প্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভিন্ন নদীগুলোর সমান পানি পাওয়ার অধিকার রয়েছে, কিন্তু তা নিশ্চিত করা হচ্ছে না। বন্যার কারণে বাংলাদেশকে যে বিশাল সমস্যা মোকাবিলা করতে হয় তা ভারত, নেপাল বা ভুটানকে মোকাবিলা করতে হয় না। আশা করি ভারত ও বাংলাদেশের সাংবাদিকরা এসব বিষয়ে আলোকপাত করতে পারবেন।
দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়ে বাংলাদেশ যথাযথভাবে সাড়া দিয়েছে এবং এটি অব্যাহত রাখা উচিত। তিনি পানি বণ্টন ও বাণিজ্য ঘাটতি দূর করার ওপর জোর দেন। মাহফুজ আনাম তার বক্তব্যে বাংলাদেশে বেসরকারি উদ্যোগে একটি ইন্ডিয়া স্টাডি সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে, যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সম্পর্ক গভীর করার বিষয়ে নির্দেশনা দিবে।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষীক বানিজ্য ঘাটতি কমানো, সীমানা নিরাপত্তা, সাধারণ ঐতিহ্য, তিন বিঘা করিডোর, ফারাক্কা বাঁধ ও তিস্তার পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করার ওপরে জোর দেন। আরও বলেন, দুই বন্ধু রাষ্ট্রের যেকোনো সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব। সাংবাদিক এবং গনমাধ্যম এ বিষয়ে কাজ করলে ও সুসম্পর্ক বজায় থাকলে এর সুফলও পাওয়া সম্ভব। দুই দেশ সম্পর্কে জানতে সমন্বিতভাবে ইনিস্টিটিউট করার দাবি রাখেন তারা।
মন্তব্য করুন